আধ্যাত্মিকতা — পাশ্চাত্য ভাবধারার আলোকে
আধ্যাত্মিকতার ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘স্পিরিচুয়ালিটি’। বর্তমান যুগে ‘স্পিরিচুয়ালিটি’ শব্দটি পাশ্চাত্য দুনিয়ায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন স্পিরিচুয়ালিটি অ ফ ওয়ার্ক , স্পিরিচুয়ালিটি অ ফ লাভ , স্পিরিচুয়ালিটি অ ফ ডেথ , স্পিরিচুয়ালিটি অ ফ ন্যাচার , ইত্যাদি। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে — কী এই ‘স্পিরিচুয়ালিটি’ ? ‘ স্পিরিচুয়ালিটি ’ শব্দটির অর্থ চিরদিন একরকম থাকেনি , কালে কালে বিবর্তিত হয়ে নতুন নতুন অর্থ পরিগ্রহ করেছে । একসময় স্পিরিচুয়ালিটি বলতে বোঝানো হতো কেবলই ‘ ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পর্ক ’, বর্তমানে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘ অন্তরতর সত্তার সঙ্গে সম্পর্ক ’ । সপ্তদশ শতাব্দীর ফ্রান্সে নতুন এক আধ্যাত্মিক চেতনার উন্মেষ ঘটে , যা বিশেষভাবে অন্তরের গভীরতম অনুভূতিগুলোকে ‘ স্পিরিচুয়ালিটি ’ র সঙ্গে যুক্ত করে । বলা হয় , ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার বিষয় । সেই সময় এ ধরণের কথা ছিল গির্জার অনুশাসনের বিরুদ্ধে এক ধরণের প্রতিবাদ । তবে তা ছিল অসাম্প্রদায়িক , নিও-লিবারেল বা নব্য - উদারপন্থী রাষ্ট্র ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ । পরবর্তীতে , এই আধ্যাত্মিক চেতনা আরও বিকশিত ও সমৃদ্ধ হয় , এবং বিংশ শতাব