দৃষ্টিশক্তির সীমা ও পরম জ্যোতি
মানুষের চোখ কেবল আলোকিত বস্তুই দেখতে সক্ষম।
যখন আলোকরশ্মি কোনও বস্তুর ওপর প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে পৌঁছায়, তখনই তা দৃশ্যমান হয়। তবে সব
ধরনের আলো মানুষের দৃষ্টিসীমার মধ্যে পড়ে না। যে আলোয় আমরা দেখতে পারি, তাকে বলা হয় ‘দৃশ্যমান আলো’, যা সমগ্র তড়িৎচুম্বক
বিকিরণের ক্ষুদ্র একটি অংশ মাত্র।
তবে কিছু কীটপতঙ্গ ও পাখি অতিবেগুনি আলোয় দেখতে
সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, প্রজাপতির দৃষ্টিসীমা মানুষের তুলনায় বিস্তৃত। ফুলের পাপড়িতে থাকা
অতিবেগুনি আলোর কারুকার্য মানুষের দৃষ্টির বাইরে থাকলেও প্রজাপতির চোখে তা ধরা পড়ে।
দৃষ্টিশক্তির এ-হেন
সীমাবদ্ধতা নিয়ে মানুষের পক্ষে কি দেখা সম্ভব সেই পরম জ্যোতির্ময়কে যিনি বিশ্বের
সকল আলোর উৎস!
দৃষ্টির
সীমাবদ্ধতা ও পরম জ্যোতির্ময়
মানুষের শারীরিক দৃষ্টিশক্তি দৃশ্যমান আলোর
সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ, তাই পরম জ্যোতির্ময়কে চোখের আলোয় দেখা সম্ভব নয়। তিনি রঙের সীমার বাইরে,
তড়িৎচুম্বক তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কোনও নির্দিষ্ট সীমানায় আবদ্ধ নন।
বাহ্যিক চোখের সাহায্যে যা দেখা যায়, তা শুধুমাত্র জাগতিক
আলোকধারার প্রতিফলন, কিন্তু সত্যের পরম উৎস এর অনেক অতীত।